চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদে নির্বাচিতদের তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে এক আদেশে ফল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন সচিব অধ্যাপক আরিফুল হক সিদ্দিকী জানান, নির্বাচিতদের আগামী বৃহস্পতিবার শপথ পাঠ করাবেন উপাচার্য ইয়াহ্ইয়া আখতার।
জুবায়েদ হত্যা ছাত্রী ও প্রেমিকের নির্দেশে, পরিকল্পনা একমাস আগের
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর গত ১৫ অক্টোবর চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন ভোরে ঘোষিত ফলে দেখা যায়, চাকসুর ২৬টি পদের মধ্যে ভিপি, জিএসসহ ২৪টিতেই বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আর তাতে ৪৪ বছর পর সংগঠনটির প্রত্যাবর্তন ঘটে চাকসুতে।
নগরী থেকে দূরে পাহাড় ঘেরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ হাজার ৫১৬ ভোটারের মধ্যে ৬৫ শতাংশের ভোট দেওয়ার তথ্য দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি হিসেবে বিপুল ব্যবধানে জয় পান ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহীম হোসেন রনি। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য। তিনি পেয়েছেন ৭,৯৮৩ ভোট। তার প্রতিদ্ব্ন্দী ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় ভোট পেয়েছেন ৪,৩৭৪টি।
জিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইতিহাস বিভাগেরই ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাঈদ বিন হাবিব। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের এই সাহিত্য ও মানবাধিকার সম্পাদক পেয়েছেন ৮,০৩১ ভোট। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ছাত্রদলের শাফায়াত হোসেন; পেয়েছেন ২,৭২৪ ভোট।
শীর্ষ এ দুই পদে বিপুল ব্যবধানে জয় পেলেও শিবিরের হাতছাড়া হয়েছে এজিএস পদ; যেখানে জয় পেয়েছেন ছাত্রদলের আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। তিনি পেয়েছেন ৭,০১৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরের সাজ্জাত হোছন মুন্না পান ৫,০৪৫ ভোট। এর বাইরে সহ-খেলাধূলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন তামান্না মাহফুজ স্মৃতি; যিনি ‘বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী হয়ে ভোটে ছিলেন।
নিউজটি পোস্ট করেছেন :
Staff Reporter