ঢাকা | , ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একাধিক অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে সাত সদস্যের কমিটি গঠিত

Staff Reporter
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Oct 20, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ছবির ক্যাপশন:
ad728

  নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশজুড়ে পরপর বড় বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকার গঠন করেছে সাত সদস্যের একটি ‘কোর কমিটি’। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব। দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম রবিবার সচিবালয়ে এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, “ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কোর কমিটি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সদস্য আরও বাড়তে পারে।”
তিনি বলেন, “কোর কমিটির ৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। আশা করা যায়, একটি পরিচ্ছন্ন প্রতিবেদন আমরা পাব।”
আবার পেনশন বিমা চালু করল জীবন বীমা করপোরেশন
গত পাঁচ দিনের মধ্যে ঢাকায় ও চট্টগ্রামে তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার মিরপুরের রূপনগর এলাকায় একটি পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে প্রায় ২৮ ঘণ্টা পর।
এরপর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড)-এর একটি কারখানায় আগুন লাগে, যা নিয়ন্ত্রণে আসে ১৭ ঘণ্টা পর। শনিবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে, যা নিয়ন্ত্রণে আসে পরদিন।
একদিন পরপর এই তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিসরে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “জনগণের বিশ্বাস এসব অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত।”
এই পরিস্থিতিতে রবিবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এক জরুরি বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন, দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, এবং ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
বৈঠকে দেশের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, পূর্বপ্রস্তুতি, ও নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়ানোর নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের করণীয় সম্পর্ক ছাড়াও পূর্ব প্রস্ততি হিসেবে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সচেতনতা আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “সচেতনার কোনো বিকল্প নেই। প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনাগুলোকে কাজে লাগানোটা অত্যন্ত জরুরি।”
বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা বিষয়েও আলোচনা হয়। পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেন, “নিরাপত্তার বিষয়টি শুধু পুলিশের একার নয়; এতে সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্ব রয়েছে। সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।”
তিনি আরও জানান, কেপিআই স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় সরকারের পৃথক ব্যবস্থাপনা আগে থেকেই রয়েছে।
দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, “আমরা অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তদন্তের বহু বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নাশকতা বা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র আছে কিনা, তা তদন্ত কমিটির রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।”
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ফায়ার সার্ভিসের দেরি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সেখানে কিছু ঘাটতি ছিল। সিভিল এভিয়েশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনাও রয়েছে, তারাও কাজ করেছে। তবে সব বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।”

নিউজটি পোস্ট করেছেন : Staff Reporter

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ